প্রচ্ছদ / বিনোদন / বিস্তারিত

শাহবাগের নতুন নাম প্রস্তাব করলেন কুদ্দুস বয়াতি

২৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৪:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের লোকগানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। আবার ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও সক্রিয়। এই প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত কনটেন্ট প্রকাশ করেন তিনি। অর্থাৎ, বিকল্প মাধ্যমগুলোয় একটা দীর্ঘ সময় কাটে তার। মাধ্যমগুলোয় সংগীত ও সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন এ গায়ক।

এবার রাজধানী ঢাকার শাহবাগ এলাকার নতুন নামকরণ নিয়ে কথা বললেন কুদ্দুস বয়াতি। দেশের চলমান পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি রেখেই এ ব্যাপারে মতামত জানিয়েছেন তিনি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর দেশের দায়িত্ব বুঝে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

এ সরকারের কাছে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে জড়ো হচ্ছেন শাহবাগ এলাকায়। গত ২৬ আগস্ট রিকশাচালকদের দুটি দল তাদের দাবি নিয়ে জড়ো হয় শাহবাগে। যা স্বাভাবিকভাবেই হতবাক করেছে সবাইকে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ খুবই বিরক্ত।

শাহবাগে দাবি-দাওয়া নিয়ে জড়ো হওয়ার এমন বিষয় নজড় কেড়েছে কুদ্দুস বয়াতির। এ ব্যাপারে সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর তিনটার দিকে ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘শাহবাগের নাম পাল্টে মামা বাড়ির আবদারবাগ রাখা হোক।’

এদিকে কুদ্দুস বয়াতির এই পোস্ট লুফে নিয়েছেন তার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা। তারা পোস্টটি সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার কপি করে নিজের টাইমলাইনে পোস্ট করছেন। আবার অনেকেই মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, বাহ্! অসাধারণ। ভালো প্রস্তাব দিয়েছেন। কেউ মন্তব্য করেছেন, এত সুন্দর কথা কেমনে কইলেন।

এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে কুদ্দুস বয়াতি বলেন, কয়েকদিন আগে নতুন সরকার এসেছে। এখনো সবকিছু ঠিকঠাক শুরু করতে পারেনি নতুন সরকার। অথচ এই সময়ের মধ্যেই অনেকে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করছে, কেউ আবার শাহবাগে জড়ো হয়ে আন্দোলন করছে। যা যুক্তিসংগত নয়।এ কারণেই ফেসবুকে এমনটা লিখেছি। তাদের এমন দাবি-দাওয়া আমার কাছে মামার বাড়ির আবদারের মতো মনে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘এই দিন দিন না আরও দিন আছে’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেয়ার মাধ্যমে শ্রোতামহলে পরিচিতি লাভ করেন কুদ্দুস বয়াতি। গানটি গাওয়া হয়েছিল বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রচারণার অংশ হিসেবে। আর সেই এক গানের পর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য