রবিবার ৮ জুন, ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ণ

আন্দোলনে গিয়ে নিখোঁজ, ১৬ দিন পর মর্গে মিলল মরদেহ

২১ আগস্ট, ২০২৪ ৫:০৪:৩৭
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে গত ৪ আগস্ট নিখোঁজ হন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের কামরুজ্জামান (৩০)। এ ঘটনার ১৬ দিন পর গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহের সন্ধান পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে চরআলগী ইউনিয়নের চর কামারিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শহীদ কামরুজ্জামান চর কামারিায়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় ছেলে। কামরুজ্জামান দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। এর মধ্যে ১০ বছর বয়সি বড় মেয়ের নাম জারিন, মেজো ছেলের নাম আতনান (৮) এবং ৫ মাস বয়সি ছোট ছেলের নাম গালিব আব্রার।

শহীদ কামরুজ্জামানের স্ত্রী শামীরা জাহান পপি খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার স্বামী ঢাকার উত্তরায় থেকে ভাড়ায় প্রাইভেট গাড়ি চালাত। তবে কিছুদিন আগে তিনি পোল্যান্ড যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এরই মাঝে আন্দোলন শুরু হলে গত ৪ আগস্ট তিনি উত্তারায় ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করেও আমরা তার সন্ধান পাইনি। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট তার মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে বলে জানতে পারি। এর আগে, গত ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত হিসেবে তার মৃতদেহ পড়ে ছিল।

স্থানীয়রা জানান, প্রাইভেটকার চালিয়ে সংসার চালাতেন কামরুজ্জামান (৩০)। বাবা থাকেন সৌদিতে, বড় ভাই থাকেন বেলজিয়ামে। এ কারণে সেও ঢাকার উত্তরায় বসবাস করে ড্রাইভিং করার পাশাপাশি পোল্যান্ড যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

কামরুজ্জামানের শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মর্গে পড়ে থাকা মৃতদেহের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পরিচয় শনাক্তের পর পুলিশ আমাদের খবর পাঠায়। পরে মর্গে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করে বাড়ি নিয়ে এসেছি। এ সময় মৃতদেহের মাথা ও শরীরে আটটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ময়নাতদন্ত করে মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কামরুজ্জামান কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না।

এই বিষয়ে চর কামারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিক বলেন, ঢাকা থেকে পুলিশের এক কর্মকর্তা আমার কাছে ফোন করে কামরুজ্জামানের ছবি পাঠায়। ওই ছবি দেখে চিনতে পেরে আমি কামরুজ্জামানের পরিবারকে জানালে তারা মৃতদেহ শনাক্ত করে বাড়িতে এনে দাফন করেছে। ঘটনাটি অনেক মর্মান্তিক।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD