ইমামদের নিয়ে মন্তব্য করে তোপের মুখে, যা বলছেন জায়েদ খান

ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগম মাধ্যমে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ইমামদের নিয়ে একটি বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে এই নায়ককে কিছু ইমামদের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের মুখে পড়েন জায়েদ খান। তাকে নিয়ে সমালোচনায় মেতে ওঠে একদল মানুষ। এমনকি বয়কটের ডাকও আসে অভিনেতার বিরুদ্ধে।
এদিকে রোববার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান জানান, একটি ভিডিও কেটে অংশবিশেষ ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি মূলত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীতে যে কিছু কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে সেই কথা বলেছি। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ইমাম যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে পত্রিকায়, যারা বলাৎকারের মতো কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে বলেছি।
জায়েদ খানের দাবি, একজন প্রশ্ন করেছিল আমায় যে আসলে কথাটা ছিল জায়েদ ভাই, আপনার এতগুলো প্রেম, এতো গুজব এসব কেমন লাগে? আমি বলেছিলাম, নায়ক বলেই তো গুজব ছড়ায়। নায়ক হয়ে যদি গুজব না ছড়ায় তাহলে মসজিদের যারা ইমাম আছে তাদের মতো টুপি দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। ভদ্র নম্র হয়ে জীবনযাপন করতে হবে, বাসায় থাকতে হবে।
তিনি বলেন, তার মানে ইমামদের আমি ভালো হিসেবে বিবেচনা করেছি। ইমামরা ভালো হয়, নামাজ পড়ায়। তাদের পেছনে সমস্ত জ্ঞানী গুণী মানুষরা নামাজ পড়ে। তাদের পেছনেই তো সেজদা দেই আমরা, আমি কিন্তু ভালো উদ্দেশ্যে বলেছি। তবে কিছু কিছু ইমাম দেখবেন কিছু মসজিদে, যারা শিশু বলাৎকারের মতো কাজ করে এটা গর্হিত কাজ। কিছু কিছু মানুষ এমন সব সমাজেই আছে। তাদেরকজে উদ্দেশ্যে বলেছিলাম। সেখানে সকল ইমাম নয়, আলেমের কথা তো ওঠেই নাই। আমি ইসলামের পক্ষে, যারা ইসলাম বিরোধী কাজ করে আমি তাদের বিপক্ষে। দ্যাটস ইট।
বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ায় এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে জায়েদ খান বলেন, ওনারা যে ভুল বুঝেছে সে জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। দুঃখ প্রকাশ করছি এটা একটি পেজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজটি করেছে। আমি একজন মুসলমান। আমার বাবা হাজি ছিলেন। আপনারা জানেন আমি মদ খাই না। বিড়ি খাই না। আমি নামাজ পড়ি। আমি কোরআন শরীফ পড়ি। আমি প্রচণ্ড পরিমাণে ইসলামকে ভালোবাসি।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য