মেধা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোটা: আয়মান সাদিক

কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমেছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা। এবার তালিকায় নাম উঠল টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আয়মান সাদিক।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিজের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। তখনও আমি প্রোপারলি এ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছি। মেধা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোটা। এটাতে কোনো ডাউট থাকা উচিত না।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে এবারও আমার সাথে অনেকের কথা হয়েছে। অনেকে সাজেশন চেয়েছে। আমি সাজেশনও দিয়েছি। তবে সেন্ট্রালের কারো সাথে আমার সরাসরি বৈঠক হয়নি। তবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীদের সাথে আমার কথা হয়েছে।
কোটা আন্দোলনে নিজের সমর্থনের কথা জানিয়ে আয়মান বলেন, ২০১৮ সালেও আমি কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। সে সময়ের কিছু পোস্ট এখন আবার নতুন করে ভাইরাল হচ্ছে। যেসব পোস্টে আমি আন্দোলনের পক্ষে অবস্থানের কথা জানিয়েছি।
কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবি তুলে আয়মান বলেন, কোটার যে সংস্কার দরকার, আমি ২০১৮ সালের আন্দোলনের সময় তুলে ধরেছি। সে সময়ের তুলনা ২০২৪ সালে এসে কোটা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে।
এদিকে আয়মান সাদিক রোববার (১৩ জুলাই) কোটা সংস্কার চাই লিখে একটি লিখা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি তার ফেসবুকের কভার ফটো চেঞ্জ করে সেখানে লিখেছেন, কোটা সংস্কার চাই, মেধা হোক সবচেয়ে বড় কুটা ।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।
টাকা কয়েক দিন আন্দোলনের পর গত ৯ জুলাই কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। পরের দিন হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য