মাত্র ৭ মাসেই কোরআনের হাফেজ ফাহিম

মাত্র সাত মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে ওমর ফারুক ফাহিম নামের এক শিশু শিক্ষার্থী। তার বয়স ১১ বছর। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ করায় আনন্দিত ফাহিমের পরিবার ও শিক্ষকরা। ফাহিমের মাধ্যমে তার সহপাঠীরাও উৎসাহ পাবে বলে মনে করেন তার শিক্ষকদের। ফাহিম লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের বেপারী বাড়ির ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের ছেলে। সে উপজেলার মাঝিরগাঁও মাদ্রাসা-ই দারুল উলুম মাদানিয়ার (সাবেক মনিকানন) ছাত্র।
ওমর ফারুক ফাহিম বলেন, বাবা-মা আমাকে ইসলামের পথে দেখতে চেয়েছিলেন। এজন্য আমাকে মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করান। আমি তাদের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ দিয়ে কোরআন পড়তে শুরু করি। মুসলিম হিসেবে কোরআনে হাফেজ হওয়া আমার জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া। হাফেজ হতে শিক্ষকরাও আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন।
ফাহিমের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, কোরআনের হাফেজ হয়ে ফাহিম আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
মাদ্রাসা-ই দারুল উলূম মাদানিয়ার হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. ইউসুফ বলেন, ফাহিম প্রতিভাবান ছাত্র। সাত মাসেই সে পুরো ৩০ পারা কোরআন আয়ত্ত্ব করতে পেরেছে। আশা করছি এ প্রতিভা কাজে লাগিয়ে সে একদিন বড় আলেম হবে।
মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, ফাহিম গত বছর আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হয়েছে। সে খুব ভালো ছাত্র। আল্লাহর অশেষ রহমতে সে অল্প সময়ে হাফেজ হয়েছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের। তাকে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে।
মাদ্রাসা-ই দারুল উলুম মাদানিয়ায় নূরানী ও হেফজ বিভাগে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। মাদরাসাটি নূরানী তালিমুল কোরআন বোর্ড পরীক্ষায় সারাদেশে সপ্তম ও লক্ষ্মীপুরে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। এছাড়াও প্রতি বছর হেফজ বিভাগ থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী হেফজ সম্পন্ন করে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: বেয়াদবির জন্য মারও খেয়েছেন তিনি: অপুকে ইঙ্গিত করে বুবলী
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য