রবিবার ৮ জুন, ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি ২০ থেকে ১০০ টাকা

৪ জুলাই, ২০২৪ ১:৪৯:০৫
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি একলাফে ২০ টাকা থেকে ১০০ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) উদ্যানে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের এই ফি গুনতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১ থেকে গত ২১ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এছাড়া দৈনিক পত্রিকায় এ বিষয়ে বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছে। গার্ডেনে প্রবেশের গেটেও এ নিয়ে নির্দেশনামূলক ব্যানার টানানো হয়েছে। বন অধিদফতরের গণসংযোগ কর্মকর্তা দ্বীপন চন্দ্র দাস ফি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হবে। আর এর চেয়ে কম বয়সিদের জন্য প্রবেশে ফি দিতে হবে ৫০ টাকা।

তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অগ্রিম অনুমতি নিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে গেলে ১০০ জনের একটি দলের জন্য ১ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। এর চেয়ে বেশিজনের দল হলে দেয়া লাগবে দেড় হাজার টাকা। গবেষকেরাও এই ফির আওতায় থাকবেন।

প্রজ্ঞাপনে বিদেশি পর্যটক ও শরীরচর্চার জন্য উদ্যানে যারা নিয়মিত হাঁটতে যান, তাদের জন্যও আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক বিদেশি পর্যটকের জন্য দিতে হবে ১ হাজার টাকা বা সমমূল্যের ইউএস ডলার। আর উদ্যানে হাঁটতে যাওয়া ব্যক্তিদের একটি বার্ষিক কার্ড করাতে হবে। এর জন্য ফি দেয়া লাগবে ৫০০ টাকা। তবে অবস্থান করা যাবে মাত্র ১ ঘণ্টা। অথচ শরীরচর্চার জন্য আগে উদ্যানে গেলে কোনোরকম ফি লাগত না।

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ব্যবহারকারীদের মতে, ঢাকায় সাধারণ মানুষের যাওয়ার জায়গা কম। শিশুরা গাছপালা তথা সবুজ দেখতে পায় না। এত অধিক হারে ফি বাড়ানো অনুচিত ও অযৌক্তিক মনে করছেন তারা।

এদিকে নাসের আহমেদ লিমন নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী উদ্যানের গেটে লাগানো নতুন প্রবেশ ফি’র ব্যানারের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘তাও যাইহোক বাসার পাশে মাঝে মাঝে গিয়ে বসে থাকতাম, সেটাও আর যাওয়া হবে না! ফাইজলামি পাইছে পুরাই! ২০ টাকা থেকে একলাফে ১০০ টাকা!’

ওই পোস্টে কমেন্টকারী শমসের রাসেল লিখেছেন, ‘চোর ডাকাত ধরার খবর নাই আর এইভাবেই আমাদের নাগরিক অধিকারের জায়গাগুলোতে ওরা দুইদিন পরপর হস্তক্ষেপ করবে।’ রাকিব অনিন্দ্য নামে একজন কমেন্ট করেছেন, ‘ভাই দুঃখের কথা কী বলব! ঢাকার পার্কগুলো এভাবে ধীরে ধীরে লিজ দিয়ে দিতেছে। এখন একটু গাছের ছায়ায় বসতে হইলেও পয়সা খরচ করা লাগে।’

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD