বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
 

মহানবী সা. যেভাবে কোরবানির গোশত বণ্টন করতেন

১৬ জুন, ২০২৪ ২:৫৮:৫৭
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম উৎসব ও ইবাদত। এই দিন আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কোরবানি করা সামর্থ্যবানদের ওপর ওয়াজিব। কেউ যদি কোরবানি না করে, তাকে কঠিন ভাষায় আল্লাহর রাসূল (সা.) কঠিন ভাষায় ভর্ৎসনা করেছেন।

এক হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করবে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ হাদিস : ২/৩২১)

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমাকে ইয়াওমুল আজহার আদেশ করা হয়েছে (অর্থাৎ, এ দিবসে কোরবানি করার আদেশ করা হয়েছে); এ দিবসকে আল্লাহ তাআলা এই উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৫৭৫)

রাসূল সা. ঈদের নামাজের নামাজের পর কোরবানি করতেন। বারা ইবনে আজিব (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের উদ্দেশে খুতবা দিলেন। তাতে বললেন, আমাদের এই দিবসে প্রথম কাজ নামাজ আদায় করা, এরপর কোরবানি করা। সুতরাং যে এভাবে করবে তার কাজ আমাদের তরিকা মতো হবে। আর যে আগেই জবেহ করেছে (তার কাজ তরিকা মতো হয়নি অতএব) তা পরিবারের জন্য প্রস্তুতকৃত গোশত, (আল্লাহর জন্য উৎসর্গিত) কোরবানি নয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৬৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৬১; সহিহ ইবনে হিব্বান : ৫৯০৭)

রাসূল সা. কোরবানির গোশত তিনভাগে বণ্টন করতেন। আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানির গোশত একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিতেন।

এছাড়া ইবন মাসঊদ রা. কোরবানির গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির-মিসকিনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD