অফিসে রাত কাটানোর পর প্রেমিকাকে খুন, প্রেমিকের যাবজ্জীবন

ছবি: সংগৃহীত
নরসিংদীর ইয়াছমিন আক্তার রিতা (৩৩) নামে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) নামে এক প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২ জুন) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের উসমান গনির ছেলে। নিহত ইয়াছমিন আক্তার রিতা একই জেলার ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর এলাকার কবির মিয়ার মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পলাশ উপজেলার তারগাঁও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি ৩৩ বছর বয়সী ইয়াছমিন আক্তার রিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ২৫ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর আলমের। চাকরির সুবাদে ব্র্যাক অফিসের ভেতরেই বসবাস করতেন বাবুর্চি ইয়াছমিন আক্তার রিতা। প্রেমিক জাহাঙ্গীর আলম ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাকরি করেন। প্রেমের টানে প্রায়ই পলাশের তারগাঁও ব্র্যাক অফিসে যাতায়াত ছিল জাহাঙ্গীর আলমের। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেও রিতাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।
এক ছুটির দিনে গোপনে ব্রাক অফিসের ভেতরে দুজন রাত কাটানোর পর ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর সকালে রিতাকে পেটে ছুরিকাঘাতে আহত করেন প্রেমিক জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় চিকিৎসক রিতাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিতার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রাজু মিয়া বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর পলাশ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্তের পর আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জাহাঙ্গীর আলমের যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।’
মামলাটির অভিযোগ গঠনের পর ২ মাস ২২ দিনে মাত্র ৭ কার্যদিবসে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক মামলার রায় দিয়েছেন। বিচারপ্রার্থী চাইলে রাষ্ট্র দ্রুততার সঙ্গে যে বিচার পাইয়ে দিতে পারেন এ মামলাটির রায় এমন নজির।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য