পরীক্ষার পাস-ফেলই সফলতার মানদণ্ড নয়: শায়খ আহমাদুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত
গত ১২ মে প্রকাশিত হয়েছে এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল। এসএসসির ফল প্রকাশের পরই অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্য একটি অংশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিছু শিক্ষার্থী জীবন দেয়ার মতো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এদের সম্পর্ক বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর আটজন পরীক্ষার্থী জীবন দিয়েছেন, এটা গণমাধ্যমে আসা খবর। প্রকৃত সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে। মূল কারণ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। দ্বিনি দিক্ষা পাওয়া মানুষ হতাশ হতে পারে না। কারণ, তার ভরসার জায়গা আছে। পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী দুঃখ থেকে বাঁচতে সে জাহান্নামের আজাবে ঝাঁপ দিতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরীক্ষার পাস-ফেলই সফলতা কিংবা বিফলতার মানদণ্ড নয়। অনেক ফেল করা ছাত্র কর্মজীবনে সফল হয়। আবার ঈর্ষণীয় রেজাল্টের পরও অনেকের কর্মজীবন সুখের হয় না। এর অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আছে। সামগ্রিক জীবনের তুলনায় পরীক্ষার রেজাল্ট বিশেষ বড় কোনো ঘটনা নয়।’
সন্তানদের এই কাজের পেছনে অনেক বাবা-মায়েরও দায় থাকে মন্তব্য করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘নিজেদের অপূর্ণ স্বপ্নের বোঝা তারা এমনভাবে চাপিয়ে দেন সন্তানের কাঁধে, সেই ভার আর তারা বইতে পারে না। ফলে চক্ষুলজ্জায় তারা এ পথ বেছে নেয়।’
তিনি বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের চেয়ে বেশি জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের নৈতিক ও দিনি চেতনাসমৃদ্ধ ভালো মানুষ বানাতে পারি, তবে এই ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। নয়তো এই সংখ্যাটা দিন দিন আরো বাড়তেই থাকবে।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার বেড়েছে পাসের হার।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য