মানিকগঞ্জ ২: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ – ২ আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের মাঝে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে নগদ টাকা ও বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কর্মীসমর্থকদের বিরুদ্ধে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজের নগদ টাকা বিতরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে হরিরামপুরে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট সহ সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন নৌকার প্রার্থী, কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা ভোটের জন্য টাকা বিতরণের অভিযোগটি অস্বীকার করে। সেটাকে চায়ের বিল দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, মানিকগঞ্জ -২ আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীতা পেয়েছেন বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তার বিপক্ষে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন চারজনসহ মোট ৯ জন প্রার্থী। এরমধ্যে আলোচনায় রয়েছেন হটাৎ দানবীর সাজা, দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। আর তাতেই অর্থালোভী কিছু নেতাকর্মী তাকে সাপোর্ট দিয়ে অসৎ উপায়ে ভোট চাইতে নগদ টাকা, সাবান সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করে যাচ্ছে। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচনী সভা,উঠান বৈঠকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও মারমুখী বক্তব্যের কারণে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোটাররা। এবিষয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও করেছেন নৌকার প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এবং ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।
এবিষয়ে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মমতাজ বেগমের সমর্থক মো. শহিদুর রহমান (ভিপি শহিদ)তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে টাকা বিতরণের ভিডিও পোষ্ট করেন। তিনি জানান, আমি নৌকা মার্কার চিফ এজেন্ট। টাকা দিয়ে ভোট কেনা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই অভিযোগ করবো। আমাদের আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নৌকার আরেক কর্মী হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি অবাধ সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা যেভাবে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী আর টাকা দিয়ে ভোট কিনছে, তাতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয়, এসিল্যান্ড মহোদয়, সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে হরিরামপুর উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে টাকা বিতরণের অভিযোগ টি ভিত্তিহীন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে টাকা দেয়ার ঘটনাটি, একটা চায়ের দোকানে চায়ের বিল দেওয়ার। অন্য কিছুই না, তবে চায়ের বিল দেয়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
তবে বিষয়টি তে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সারা না পাওয়ায় বক্তব্য জানা যায়নি।
আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহরিয়ার রহমান জানান, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য