বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী ৩০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ শতাধিক

চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপকূলে ৩০টির বেশি লবণবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ হয়েছেন, উদ্ধার হয়েছে ২২ জন।
কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে বুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালী উপকূল থেকে তিন থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে শঙ্খ নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইতোমধ্যে বাঁশখালী উপকূলে স্থানীয় মাঝিমাল্লারা ৪ জন, আনোয়ারা উপকূলে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে।
এ বিষয়ে খানখানাবাদ ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল হক বলেন, ‘স্থানীয় মাঝিমাল্লাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা একটি বোট পাঠাই। তারা সাগরে ভাসমান অবস্থায় ৪ মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করেন।’
খানখানাবাদ উপকূলে উদ্ধার হওয়া মাঝিরা হলেন মাল্লারা হলেন- ছাবের মাঝি, নুরুল কাদের, তোফায়েল আহমেদ ও আবদুল মজিদ। তারা সবাই কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ওলুবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ছাবের মাঝি বলেন, ‘প্রায় ৩০টির বেশি বোট লবণ বোঝাই করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। আমাদের আশপাশে প্রায় ৫টি ট্রলার ডুবে যেতে দেখেছি। আমাদের ট্রালারটি ডুবে গেলে কোনোভাবে ভেসে থেকে প্রাণ রক্ষার যুদ্ধ চালিয়ে গেছি। বাঁশখালীর উদ্ধারকারী টিম আমাদের প্রাণ বাঁচায়।’
এদিকে নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে ১৬টি ট্রলার লবণ নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। আনোয়ারা উপকূল থেকে একটু দূরে গেলে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারগুলো ডুবে যায়। কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ চারটি ট্রলার থেকে ১৮ মাঝিমাল্লা ও শ্রমিক উদ্ধার করে। নিখোঁজ অন্যান্যদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ।
বারো আউলিয়া ঘাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, ‘লবণবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় চারটি ট্রলারের উদ্ধার হওয়া ১৮ জনের মধ্যে দুজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন আমাদের হেফাজতে রয়েছেন, চারজন কোস্ট গার্ড স্টেশনে আছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।’
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য