ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না সোশ্যাল মিডিয়ার বরাতে আলোচনায় উঠে আসা কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কারণও জানিয়েছেন আলোচিত এ ব্যক্তি।

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় এক আলাপচারিতায় হিরো আলম বলেন, শুরুতে আমি ঝিনাইদহ-১ আসনে নির্বাচন করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ওই সময় আমার কাছে অনেক ফোন এসেছে। অনেকেই তাদের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বলেছেন, আপনি আমাদের এখানে প্রার্থী হন।

হিরো আলম বলেন, সংসদ সদস্য হয়ে জনগণের সেবা করার ইচ্ছা রয়েছে আমার। কিন্তু ঝিনাইদহ থেকে যে নির্বাচন করব, সেখানে আমি কাজ করব কীভাবে? নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য অনেকে বলে, কিন্তু কাজের সময় সবাইকে পাওয়া যায় না। সেখানে আমার কোনো ব্যাকআপ নেই। ব্যাকআপ না থাকলে নির্বাচন করব কীভাবে? সম্ভব না তো।

দেশের যেকোনো আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া যায়। নির্বাচন করা কোনো ব্যাপার না। কিন্তু নির্বাচন করতে ব্যাকআপের প্রয়োজন হয়। ঝিনাইদহে সেই ব্যাকআপ নেই বলে জানান হিরো আলম।

ব্যাকআপ বলতে ঠিক কী বোঝাচ্ছেন―এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে ঝিনাইদহে আমার নিজের কোনো মানুষ নেই। সেখানে কার ভরসায় ভোটে লড়ব আমি। কিছু মানুষ তো বলবে, আপনি আসেন, নির্বাচন করেন, বাকিটা আমরা দেখব। এমন কাউকে পাচ্ছি না। আবার আমার জন্য সেখানে কে ভোট চাইবে মানুষের কাছে, আর আমি একাই বা কতকিছু সামাল দেব? সব ভেবে দেখলাম, সেখানে আমার কোনো কর্মী নেই। এ কারণেই ঝিনাইদহে নির্বাচন করছি না।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল হিরো আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে উপনির্বাচন করবেন। এ জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু এমন ঘোষণা দেয়ার এক সপ্তাহ হওয়ার আগেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেন হিরো আলম।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই গত ১৬ মার্চ থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হয়ে যায় আসনটি।

আগামী ৫ জুন ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনে ভোটগ্রহণ হবে। তফসিল অনুযায়ী, এ আসনে নির্বাচনের জন্য আগামী ৭ মে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০-১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে।

প্রসঙ্গত, এর আগে জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।