আরেক ভাইরাসের হানা ,করোনার ক্ষত না শুকাতেই

ছবি: সংগৃহীত
মাত্র বছর দুয়েক আগেই বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে করোনো ভাইরাস। ভয়ংকর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। করোনো সেভাবে না থাকলেও মহামারির শোকস্মৃতি মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি। ধীরে ধীরে এই শোকস্মৃতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে বিশ্ব যখন করোনাকে পেছনে ফেলে সামনে আগানোর চেষ্টা করছে, তখনই বেরিয়ে এসেছে ভয়ংকর এক তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রে গরুর পাস্তুরিত দুধে প্রাণঘাতী বার্ড ফ্লু ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। আমেরিকার প্রতি পাঁচটি বাণিজ্যিক দুধের নমুনার মধ্যে একটিতে এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এতে একজন মানুষও আক্রন্ত হয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গরুর পাস্তুরিত দুধে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা জানতে তারা সারা দেশে একটি সমীক্ষা করেছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাঁচটি বাণিজ্যিক দুধের নমুনার মধ্যে একটিতে হাইলি প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (এইচপিএআই) বা বার্ড ফ্লু ভাইরাসের ধরন এইচ৫এন১-এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। যদিও এই তথ্য সামনে আসার আগে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব এত বেশি হবে না বলেই ধারণা করছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
তবে আশার কথাও বলেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দুধে পাওয়া ভাইরাস মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাইকেল অস্টারহোম বলেছেন, এই ভাইরাসটি সারা দেশে ব্যাপক হারে গবাদি পশুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছিল।
কর্নেল ইউনিভার্সিটির ফুড সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক স্যামুয়েল অ্যালকেইন বলেন, আমি নিজে দুধ নিয়ে চিন্তিত নই। তবে এই সমীক্ষা আমাদের বলছে, এই ভাইরাসটি আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি খামারে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গবাদিপশুর মধ্যে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত গবাদিপশুর সংস্পর্শে আসার মধ্য দিয়ে এক ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তার উপসর্গগুলো অনেকটা মৃদু।
১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম বার্ড ফ্লু এ বা এইচফাইভএন১ ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে ২০২০ সাল থেকে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত পাখির সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। তখন থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়তে দেখা গেছে। সেই বছর মার্চ মাসে গরু ও ছাগলও এ তালিকায় যুক্ত হয়। এতে বিশেষজ্ঞরা হতবাক হন। কারণ, এর আগে পর্যন্ত পশুরা এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হতে দেখা যায়নি।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য